Header Ads

কম্পিউটারের বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধান

কম্পিউটারের বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধান






কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার সফটওয়্যার সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা কারণ ও তার সমাধান (ইজি ট্রাবলশুটিং)


১. ডিসপ্লে না আসা/পিসি চালু হচ্ছে না (ডেস্কটপ):
* সব ক্যাবল, ক্যাবলের ফিউজ ঠিক আছে কিনা চেক করুন।

* মনিটরের এর লেড লাইট জ্বলা নেভা করতে থাকলে বড় সমস্যা, যদি পিসির পাওয়ার বাটন চাপার পর লেড লাইট জ্বলানেভা থেমে জ্বলেই থাকে এবং মনিটরে কিছু না কিছু দেখা যায় তাহলে আশা আছে ।

* পাওয়ার সুইচেই সমস্যা থাকতে পারে অভিজ্ঞ কাজ জানা ব্যবহারকারীরা সম্ভব হলে মাদারবোর্ডের ম্যানুয়াল দেখে মাদারবোর্ডের পাওয়ার বাটন পিন দুইটি বের করে তা কোনোভাবে কন্টাক্ট করে দেখতে পারেন কাজ হয় কিনা। তবে অনভিজ্ঞরা এই কাজটি না করতে যাওয়াটাই ভালো।

* পাওয়ার বাটন চাপার পর যদি পিসিতে কোনো শব্দ না করে ফ্যান না ঘোরে কেসিং খুলে দেখুন হয়ত আপনার পাওয়ার সাপ্লাই নষ্ট হয়ে গেছে।

* মাদারবোর্ডের পাওয়ার লেড জ্বলছে কিন্তু কেসিংয়ের পাওয়ার বাটন চাপলেও ফ্যানগুলো ঘুরছে না তাহলে পাওয়ার সাপ্লাইয়ে সমস্যা লো ভোল্টেজ, এক্ষেত্রে সম্ভব হলে অন্য পাওয়ার সাপ্লাই লাগিয়ে চেষ্টা করে দেখুন।

* মাদারবোর্ডে বায়োসে লাগানো ছোট্ট ব্যাটারিটি পুরোনো হলে পরিবর্তন করে দেখুন।

* মাদারবোর্ডে এলইডি জ্বলে, ফ্যান ঘোরে কিন্তু ডিসপ্লে আসছেনা তাহলে বুঝতে হবে র‌্যামের সমস্যা। র‌্যামের স্লট পরিবর্তন করে পারলে অন্য ভালো র‌্যাম লাগিয়ে দেখুন। র‌্যাম লাগানোর সময় খেয়াল রাখুন মাদারবোর্ড DDR2 নাকি DDR3 সেই হিসাবে র‌্যাম লাগান।

* ভালো র‌্যাম লাগিয়েও ডিসপ্লেতে কিছু না আসলে মাদারবোর্ড, ডিসপ্লে ইউনিটে সমস্যা।

বিপ চেক: এর জন্য আপনার পিসিতে ইন্টারনাল স্পীকার কিন্তু থাকতে হবে। অনেক মাদারবোর্ডে ইন্টারনাল স্পীকার বিল্ট-ইন থাকে।অন্যগুলাতে আলাদা লাগাতে হয়। পাওয়ার সুইচ অন করার পর সেই ছোট্ট স্পিকার কয়টা আওয়াজ করলো খেয়াল করুন-

* যদি বীপ সংখ্যা এক হয় তার মানে কম্পিউটার ডিসপ্লে আউটপুট পাচ্ছে না। অথবা কীবোর্ড মাদারবোর্ডের সাথে ঠিকমতো সংযুক্ত না হলেও এমনটা হতে পারে।

* যদি একটি বড় বীপের পর দুটি ছোটো বীপ হয় তারমানে র‌্যাম পাচ্ছে না আপনার মাদারবোর্ড। র‌্যাম পরিবর্তন না স্লট পরিবর্তন করে দেখুন।

* যদি একটি বড় বীপের পর তিনটি ছোট বীপ হয় তাহলে বুঝবেন নিশ্চিতভাবেই ডিসপ্লে বা গ্রাফিক্স আউটপুটের সমস্যা।

* আর যদি একটা বড় বীপ তারপর চারটা ছোট বীপ হয় তারমানে আপনার মাদারবোর্ড বা গুরুত্বপূর্ণ কোন হার্ডওয়ার নষ্ট হয়ে গিয়েছে বা ঠিকমতো কাজ করছে না।

ল্যাপটপের ক্ষেত্রে (চালু না হওয়া) :

* ল্যাপটপ কম্পিউটার যদি পাওয়ার না পায় তাহলে বুঝতে হবে সেটা এডাপ্টারের সমস্যা। আপনার কারেন্টের সকেট এবং এডাপ্টার ঠিক আছে কিনা পরীক্ষা করুন।

* ল্যাপটপ ব্যাটারি ডাউন হয়ে এমন সমস্যা হতে পারে ২-৩ ঘন্টা একটা চার্জে রেখে দিন এরপর অন করার চেষ্টা করুন।

* ব্যাটারি খুলে চার্জার লাগিয়ে অন করার চেষ্টা করুন।

* এরপরও না হলে ভালো টেকনিশিয়ানের শরণাপন্ন হন।

২. ল্যাপটপে এলইডি জ্বলে, ফ্যান ঘোরে কিন্তু ডিসপ্লে আসেনা:
* চালু অবস্থায় ল্যাপটপের ঢাকনা নামিয়ে দিলে বা অনেক্ষণ নিস্ক্রিয় থাকলে হার্ড স্লিপ হয়ে এমনটা হতে পারে। এই সমস্যা লেনোভো ল্যাপটপগুলিতে বেশি হয়। পাওয়ার বাটন কয়েক সেকেন্ড চেপে রেখে পূরোপূরি অফ করে ফেলুন এবার অন করুন। প্রয়োজনে ব্যাটারি খুলে ফেলুন আবার লাগান এবার অন করুন।

*এরপরও অন না হলে র‌্যামের সমস্যা। পারলে নিজে খুলে চেক করুন না পারলে ভালো টেকনিশিয়ানের শরণাপন্ন হন।

৩. ডেস্কটপ নট বুটিং/বুট ডিভাইস নট ফাউন্ড/মিডিয়া টেস্ট ফেইলার চেক ক্যাবল:
কম্পিউটার বুট হতে গিয়ে উইন্ডোজ লোডিং-এর আগেই আটকে গেছে ?

খালি স্ক্রিন দেখাচ্ছে আর কিছু আসছে না?

Boot device not found! দেখাচ্ছে?

Media test failure check cable... দেখাচ্ছে? বুঝতে হবে আপনার হার্ডডিস্কের সমস্যা।

* কিবোর্ড মাউস ছাড়া সব ইউএসবি ডিভাইস, মেমোরি কার্ড, সিডি-ডিভিডি খুলে ফেলুন। এরপর অন করে দেখুন, পারলে কীবোর্ড চেঞ্জ করে দেখুন।

* হার্ডডিস্কের ক্যাবলগুলি ঠিকমত লাগানো আছে কিনা চেক করুন।

* মাদারবোর্ডের কানেক্টর ক্যাবলটি পরিবর্তন করে দেখুন।

* বায়োস থেকে ডিজাবলড বুট ডিভাইস এনাবল করুন,

* বায়োসে বুট প্রায়োরিটি ঠিক করে হার্ডডিস্ককে ফার্স্ট বুট ডিভাইস করে দিন।

* হার্ডডিস্কে ব্যাড সেক্টর থাকলেও এমনটা হতে পারে।

* ওএস করাপ্টেড হলেও এমনটা হয় এজন্য প্রয়োজনে স্টার্টআপ রিকভারি/ইমেজ রেস্টোর দিন বা পূনরায় উইন্ডোজ দিন।

৪. পিসি আপনা আপনি বারবার রিস্টার্ট করছে:
কম্পিউটার ঠিকমতো চালু হচ্ছে হয়তো অপারেটিং সিস্টেমও লোড হচ্ছে তারপর হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে রিস্টার্ট করছে।

* র‌্যামের সমস্যা বা ভিন্ন ভিন্ন বাসস্পিডের র‌্যাম থাকলে এমনটি হতে পারে। একই বাস স্পিডের র‌্যাম সবসময় ব্যবহার করবেন। খেয়াল করবেন র‌্যাম স্লটে ঠিকমতো বসানো আছে কিনা। এরপর যদি একাধিক র‌্যাম ব্যবহার করে থাকেন তাহলে খেয়াল করুন সবগুলোই একই বাসস্পিডবিশিষ্ট কিনা। সিস্টেম স্ট্যাবিলিটির জন্য একই বাসস্পিডবিশিষ্ট র‌্যাম ব্যবহার করা খুবই জরুরি।

* প্রসেসর অত্যাধিক গরম হয়ে যাওয়া। প্রসেসর যখন বেশি গরম হয়ে যায় প্রসেসরে থার্মাল প্রটেকশন সিস্টেম নিজে থেকে কম্পিউটার অফ করে দেয়। এজন্য প্রসেসর ফ্যান, হিটসিংক পরিষ্কার করুন, প্রয়োজনে বদলে ফেলুন এরপরও ঠিক না হলে বুঝবেন প্রসেসরের সমস্যা, বদলাতে হবে।

* মারাত্মক ধরণের কোনো ভাইরাস/বুট সেক্টর ভাইরাসের কারণেও এমনটা হতে পারে। এজন্য বাজারের ভালো হালকা কোনো অ্যান্টিভাইরাস কিনে ব্যবহার করুন।

* মাদারবোর্ডের কোনো সমস্যাতেও এমনটা হতে পারে তবে প্রথম চেক করার বিষয় কুলিং সিস্টেম ও প্রসেসর।

* মাঝে মাঝে কোনো সফটওয়্যার ইন্সটলেশনের কারণেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। কাজেই মনে করুন এই সমস্যা করার আগে কোন কাজটি করেছিলেন। মনে থাকলে সেটি রিমুভ করে ফেলুন।

* পিসিতে নতুন সংযুক্ত কোনো হার্ডওয়্যার কনফ্লিক্টের কারণেও এটি হতে পারে। এমতাবস্থায় হার্ডওয়্যারটি খুলে ড্রাইভার আনইন্সটল করুন।

* সিপিইউর যন্ত্রাংশে ধুলাবালি জমেও এমনি হতে পারে। তাই নিয়মিত কম্পিউটার পরিষ্কার রাখুন ও যতটা সম্ভব শুষ্ক ঠান্ডা স্থানে রাখুন।

* বায়োসে সিপিইউ ফ্যানের প্রোফাইলে সমস্যার কারনেও এটা হতে পারে।হয়তো আপনার ফ্যান প্রোফাইল সাইলেন্ট করে রাখা, একারনে দরকারি হেভীওয়েট কাজের সময় সিপিইউ পর্যাপ্ত তাপ নির্গমন করতে না পেরে পিসি রিস্টার্ট নেয়। এক্ষেত্রে বায়োসে গিয়ে ফ্যান প্রোফাইল ইন্টিলিজেন্ট বা টার্বো করে দিন।
* আর ভোল্টেজ উঠানামার কারণেও এমনটা হতে পারে। এজন্য ইউপিএস ব্যবহার করুন।

৫. পিসি/অপারেটিং সিস্টেম ধীরে চালু হয়:
জাঙ্ক ফাইল ও রেজিস্ট্রি ক্লিন করুন। ভাইরাসের কারণে হলে কোন ভালো অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করে দেখুন। স্টার্টআপে অনেক প্রগ্রাম চালু থাকলে এরকম হয় এজন্য স্টার্টআপ ক্লিন করুন। এজন্য-

উইন্ডোজ ১০ এ- Start বাটন বা Taskbar এর উপর রাইট বাটন চেপে Task Manager ওপেন করুন এবার Startup ট্যাব সিলেক্ট করুন যে অ্যাপটি চান সিলেক্ট করুন, এবার Enable অথবা Disable ডিজ্যাবল করে দিন।

উইন্ডোজ ৭ হলে - Start থেকে Run এ গিয়ে msconfig লিখে এন্টার দিন উইন্ডো ওপেন হলে Startup ট্যাব থেকে খুবই প্রয়োজনীয় দুএকটি রেখে বাকীগুলো Disable করে দিয়ে ওকে করে দিয়ে বেড়িয়ে আসুন।

CCleaner ব্যবহার করেও এটা করতে পারেন।

৬. একাধিক বুট অপশন/একাধিক উইন্ডোজ দেখালে:
বুটের সময়ে বার বার একাধিক বুট অপশন দেখালে বা সিলেক্ট করতে বললে সেটা বিরক্তিকর, রেহাই পেতে যেটা থেকে ভালোভাবে উইন্ডোজ বুট হয় সেটা মনে রাখুন। বুট হওয়ার পর Start থেকে Run এ যান msconfig টাইপ করুন । বুট ট্যাবে যান সেখানে লিস্ট দেখাবে, যেটা থেকে বুট করেছেন সেটা রেখে বাকীগুলো ডিলিট করে দিন। Apply দিয়ে Ok করে দিন।

৭. কম্পিউটার স্লো হয়ে গেলে:
কম্পিউটার অনেক কারণেই স্লো হতে পারে। এর মধ্যে আছে-

* অতিরিক্ত ধুলা-বালির জন্য কম্পিউটার স্লো হয়ে যেতে পারে। এজন্য মাসে অন্তত একবার হলেও সিপিইউ খুলে এর ধুলাবালি পরিস্কার করা উচিত।

* ভাইরাসের কারণে পিসি স্লো হয়ে যেতে পারে। এজন্য ভালো কেনা অ্যান্টিভাইরাস যেমন ট্রেন্ড মাইক্রো, ইসেট, পান্ডা ইত্যাদি শক্তিশালী এবং হালকা রাখুন। নিয়মিত ভাইরাস স্ক্যান করুন।

* সি ড্রাইভের জায়গা বেশি ভরে গেলে পিসি স্লো হতে পারে। সি ড্রাইভের অপ্রয়োজনীয় ডাটা অন্য ড্রাইভে রাখুন।

*  খুব বেশি এপ্লিকেশন ইন্সটল বা আনইন্সটল করলে পিসি ধীরে ধীরে স্লো হয়ে যেতে পারে। এজন্য অযথা যেকোনো সফটওয়ার ইন্সটলেশন থেকে বিরত থাকুন।


৮. ব্ল স্ক্রিন অফ ডেথ Blue Screen (বিএসডি) নীল স্ক্রিন:
এর অনেক কারণ হতে পারে যেমন-
আনসাপোর্টেড হার্ডওয়্যার, এমন কোনো হার্ডওয়্যার যার ড্রাইভার উইন্ডোজের সাথে বা মাদারবোর্ডর সাথে ম্যাচিং হচ্ছেনা। এজন্য সেই হার্ডওয়্যারটি খুলে, ড্রাইভারটি রিমুভ করে দেখতে পারেন।

* কম্পিউটারে অত্যাধিক চাপ পড়লে সাময়িক এমনটা হতে পারে।
* যদি বার বার হয় সেক্ষেত্রে মাদারবোর্ড নষ্ট হতে পারে।
* হার্ড ডিস্ক নষ্ট/ব্যাড সেক্টরের কারণে হতে পারে।
* প্রসেসর আংশিক নষ্ট হলেও এমনটা হতে পারে।

৯. উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার/প্রোগ্রাম নট রেসপন্ডিং/আনেক্সপেক্টেড ক্লজিং:
এটা মূলত হয়

* র‌্যামে কম জায়গা, র‌্যাম ভর্তি হয়ে যাওয়া,
* অনেক প্রগ্রাম একসাথে চালু থাকা,
* একটি কাজের কমান্ড দিয়ে কাজ শুরুর আগেই আরেকটা কমান্ড দেয়া,
* স্টার্ট না হতেই ক্লোজ ক্লিক করা ইত্যদি কারণে।

এজন্য করণীয় হল: কোনো প্রগ্রাম রান করতে সমস্যা হলে অন্য কিছু প্রগ্রাম ব্রাউজারের কিছু ট্যাব ক্লোজ করা। কোনো প্রগ্রাম ক্লোজ করতে সমস্যা হলে Taskbar এর উপর রাইট বাটন চেপে Task manager চালু করে Processট্যাব থেকে সেই প্রগ্রাম সিলেক্ট করে End Task ক্লিক করুন।

১০. কিবোর্ড কাজ করেনা, আপনাআপনি/উল্টাপাল্টা কাজ করে :
* ডেস্কটপ হলে প্রথমে আলাদা কিবোর্ড ব্যবহার করে দেখুন
* এরপর দেখুন সেটিং ঠিক আছে কিনা এজন্য
কন্ট্রোল প্যানেলে গিয়ে Regional and Language অপশনে যান।

* Keyboard and Language ট্যাব থেকে Change Keyboard-এ ক্লিক করুন।

* সেখান থেকে United States International সিলেক্ট করে Apply, Ok করুন।

ল্যাপটপের ক্ষেত্রে
* সেটিং ঠিক আছে কিনা চেক করুন

* কিবোর্ড খুলে কানেক্টরটি পরিষ্কার করে আবার লাগান। ঠিক না হলে কীবোর্ড চেঞ্জ করে নিন। খরচ পরবে ১০০০-১৫০০ টাকা।

১১. ল্যাপটপে নট চার্জিং (Battery plugged in not charging):
ব্যাটারি পূরোনো হয়ে গেলে কিংবা নষ্ট হলে এমনটা হয়। এক্ষেত্রে ব্যাটারি পরিবর্তন করতে হবে। আরেকটা কাজ করে দেখতে পারেন- My Computer এ Right Button চেপে Manage এ ক্লিক করে Device Manager এ যান, এরপর Microsoft ACPI...Compliant Batery.. এ Right Button চেপে Uninstall এরপর রিস্টার্ট করুন, ব্যাটারি আপনাআপনি আবার ইনস্টল হবে, এবার দেখুন চার্জিং দেখাচ্ছে কিনা! দেখালে ওকে, না হলে ব্যাটারি পাল্টাতেই হবে।

১২. সাউন্ড প্রবলেম অডিও শোনা যাচ্ছেনা:
* কোনো হেডফোন বা স্পিকার জ্যাক লাগান,

* সাউন্ড ড্রাইভার ইনস্টল দিন। পিসিতে থাকলে সেখান থেকে দিতে পারেন, না থাকলে সহজে করতে My Computer এ Right Button চেপে Manage এ ক্লিক করে Device Manager এ যান, এরপর Sound Video and Game Controller ক্লিক করুন হলুদ সতর্কবার্তা দেখানো অপশনে রাইট বাটন চেপে Update Driver এরপর Search Automaticall for...অপশন চাপুন নেট থেকে আপনাআপনি ড্রাইভার ইনস্টল হয়ে যাবে। রিস্টার্ট দিন।

* সামনের পোর্ট দিয়ে স্পষ্ট সাউন্ড পেতে হলে ড্রাইভার এবং বায়োস সেটিংস দুটোই কিন্তু ঠিক থাকতে হবে। এজন্য প্রথমে আপনার সাউন্ড কার্ডের লেটেস্ট ড্রাইভার ইন্সটল করুন। তাতেও যদি ভালো সাউন্ড না আসে তবে বায়োসে গিয়ে সাউন্ড আউটপুট HD নাকি AAC 97 তা সিলেক্ট করে দিতে হবে। এজন্য আপনার মাদারবোর্ডের ম্যানুয়ালের সহায়তা নিন।

* এরপরও সমাধান না হলে নেট থেকে আপনার ড্রাইভার মডেল বা মাদারবোর্ড ব্র্যান্ড+ মডেল+Audio Driver লিখে গুগোলে সার্চ দিন প্রথম ২ তিনটা লিংক/অফিসিয়াল/সাপোর্ট লিংক থেকে নামিয়ে নিতে পারবেন।

* মাদারবোর্ডের মডেল জানা না থাকলে Speccy নামের সফটওয়্যারটি ইনস্টল দিয়ে জেনে নিতে পারবেন।

* উইন্ডোজ ১০ হলে উইন্ডোজ আপডেট রান করুন।

১৩. ভিডিও চলছে না:
কিছু ভিডিও বা অডিও প্লে হচ্ছেনা, উইন্ডোজ দেয়ার পর থেকে এই সমস্যা হচ্ছে?
* গ্রাফিক ড্রাইভার ইনস্টল করুন, মাদারবোর্ডের সিডিতে পাবেন অথবা নেট থেকে নামিয়ে নিন।
* কোডেক ইনস্টল করুন। জনপ্রিয় কোডেক হচ্ছে Klite Mega Codec Pack এর সাথে মিডিয়া প্লেয়ার ক্ল্যাসিকও ইনস্টল হয়ে যাবে। যা প্রায় সব ভিডিও প্লে করতে পারে।
* অথবা কোরএইভিসি ভিডিও ডিকোডার ইন্সটল করুন। ইন্সটলেশনের সময় ‘হালি মিডিয়া ইন্সটলার’ অপশনটি চুজ কম্পোনেন্টস থেকে বাদ দিতে হবে।

১৪. নাড়াচাড়া করলে ডিসপ্লে চলে যায়, ডিসটর্ট হয় ওয়েবক্যাম কাজ করেনা:
* রিবনের প্রবলেম বা রিবন নষ্ট হয়ে গেলে এমনটা হয়, রিবন চেঞ্জ করে নিন - খরচ পড়বে ৭০০- ১২০০ টাকা পর্যন্ত

১৫ . ডিসপ্লেতে লম্বালম্বি দাগ:
ডিসপ্লেতে আঘাত লেগে দাগ পড়েছে? খুব বেশি সমস্যা না হলে চালিয়ে যান অথবা চেঞ্জ করে ফেলুন। দাম পড়বে ২৫০০-৩৫০০ টাকা।

১৬. গ্রাফিক্স কার্ডের সমস্যা/ মনিটরে ছবি/আলো আসে না :
* মনিটরের ক্যাবল কানেকশন লুজ হয়ে গেছে কিনা চেক করুন।
* মনিটর ও পিসির পাওয়ার সুইচ অন করার পর তিনটি শর্ট বীপ শুনতে পান তাহলে বুঝতে হবে গ্রাফিক্স কার্ডে সমস্যা।

* যদি বিল্টইন/ইন্টিগ্রেটেড গ্রাফিক্স হয় তাহলে আলাদা গ্রাফিক্স কার্ড এজিপি স্লটে লাগিয়ে টেস্ট করতে পারেন।
* ড্রাইভার আপডেট/রিইনস্টল করে দেখতে পারেন।
* বায়োস সেটিংস রিসেট করে দেখতে পারেন।
* এক্সট্রা/ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স কার্ড হলে সেটি খুলে অন্য পিসিতে লাগিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন এটি ঠিক আছে কিনা।
* অনেকসময় র‍্যামের স্লট পরিবর্তন করলেও এই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।

১৭. মনিটর ঝাপসা ছবি বা কাঁপলে:
যদি মনিটর ঝাপসা মনে হয় বা এটি কাঁপতে থাকে তাহলে বুঝতে হবে মনিটর ও গ্রাফিক্স কার্ডের রিফ্রেশ রেটে অসামঞ্জস্য আছে। যদি উইন্ডোজ লোড হওয়াকালীন এই সমস্যা হয় তাহলে বুঝবেন মনিটরের রিফ্রেশ রেট ভুলভাবে সেটিংস করা হয়েছে। এমতাবস্থায় সিস্টেম বুট হবার পর যখন Starting Windows মেসেজটি দেখবেন তখনই কী-বোর্ডের এফ ৮ চেপে সেফ মোডে উইন্ডোজ চালু করুন। এর গ্রাফিক্স/ডিসপ্লে প্রোপার্টিজে গিয়ে রিফ্রেশ রেট ঠিক করুন।

১৮. মনিটরের স্ক্রীণ সাইজ ছোটো আসছে:
আমাদের সমাধান: সাধারণত এলসিডি বা সিআরটি মনিটরের স্ক্রীণ সাইজ যদি মনিটরের চেয়ে ছোটো আসে তাহলে বুঝতে হবে যে মনিটরের রেজুলেশন ঠিক নেই। ডেস্কটপে মাউসের রাইট ক্লিক করে ডিসপ্লে/গাফিক্স প্রোপার্টিজে গিয়ে আপনার মনিটরের সাইজ অনুযায়ী রেজুলেশন সিলেক্ট করুন। তাতেও কাজ না হলে গ্রাফিক্স কার্ড ড্রাইভার আপগ্রেড করুন।

১৯. ভাইরাস আক্রান্ত হলে:
 কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হলে

* পিসি ঘন ঘন হ্যাং করতে পারে,
* পিসি ভয়ানক স্লো হয়ে যেতে পারে
* হঠাৎ রিস্টার্ট নিতে পারে।
* হঠাৎ করে অদ্ভূত কোনো মেসেজও আসতে পারে।
* আপনার সব ফাইল ফোল্ডার ডিলিট হয়ে যেতে পারে।
* সব ফাইল ফোল্ডার হিডেন হয়ে যেতে পারে।
* সাম্প্রতিক ওয়ানাক্রাই র‌্যানসমওয়্যার আপনার সব ফাইল ফোল্ডার লক করে দিয়ে টাকা দাবি করতে পারে

এজন্য:শুধুমাত্র একটি ভালো অ্যান্টিভাইরাস রাখুন, পেইড গুলোর মধ্যে হালকা অ্যান্টিভাইরাস যেমন ট্রেন্ড মাইক্রো, Eset ইত্যাদির যেকোনো একটা ব্যবহার করতে পারেন। আর ফ্রি চাইলে Malwarebyte, Zemana, Hitman Pro যেকোনোটা ব্যবহার করতে পারেন। ফ্রি AVG বা Avast ব্যবহার না করাই ভাল, এগুলো কম্পিউটার অনেক স্লো করে ফেলে।

২০. শর্টকাট ভাইরাস আক্রান্ত হলে:
শর্টকাট ভাইরাস একটি দূর্বল অথচ বিরক্তিকর ভাইরাস, কোনো স্টোরেজ ডিভাইস শর্টকাট আক্রান্ত হলে, ফাইল শো করেনা কিন্তু ড্রাইভে/স্টোরেজে জায়গা ঠিকই ধরে রাখে। স্থায়ী সমাধান অ্যাভাস্ট বাদে অন্য কোনো এন্টিভাইরাস রাখা। এন্টিভাইরাস ছাড়া কম্পিউটারে পেনড্রাইভ না লাগানো। কিন্তু শর্টকাট হয়ে গেলে ঘাবরাবেন না, দরকারি ফাইল থাকলে ফরম্যাট দেবেন না।

* ভালো এন্টিভাইরাস দিয়ে স্ক্যান করে ভাইরাস মুক্ত করুন।

* এন্টিভাইরাস না থাকলে শর্টকাট ভাইরাস রিমোভার ব্যবহার করতে পারেন। ভাইরাস দূর হলে পেনড্রাইভ ফাকা দেখাবে।

* এবার কম্পিউটারের এক্সপ্লোরারের ফাইল মেনু থেকে Organize এ ক্লিক করে View থেকে Show Hidden Files ক্লিক করুন। আপনার ফাইল পেয়ে যাবেন। ফাইল শো করার জন্য USB Show নামের পোর্টেবল সফটওয়্যারটি রেখে দিতে পারেন।

২১. ড্রাইভ খুলতে সমস্যা:
আমাদের সমাধান: ভাইরাসের দ্বারা বানানো autorun.inf নামক হিডেন সিটেম ফাইলের উপস্থিতির কারণে এমনটা হচ্ছে। এই ফাইলটি মুছে দিতে পারলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এজন্য
Autorun-Eater ডাউনলোড করে ইন্সটল করে ব্যবহার করুন। আশা করি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

২২. মাউস কাজ করছে না:
অপটিক্যাল মাউস নিয়ে বলার কিছু নেই। কেননা বেসিক ইলেকট্রনিক সার্কিট,সোল্ডারিং, মাল্টিমিটার এর সাথে যাদের পরিচয় নেই তারা আসলে নতুন মাউস কেনা ছাড়া কিছুই করতে পারবেন না। মাউসের ক্যাবল চেক করে দেখতে পারেন সমস্যা আছে কিনা। আপনার মাউস যদি বেশি পুরাতন হয়ে থাকে তাহলে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা হতেই পারে। সম্ভব হলে অন্য পিসিতে লাগিয়ে দেখুন ঠিকমতো কাজ করছে কিনা। যদি ঠিকঠাক অন্য পিসিতে কাজ হয় তাহলে পিএস২ মাউসের বদলে ইউএসবি ব্যবহার করে দেখুন।

২৩. ল্যাপটপ অতিরিক্ত গরম হয়?
ল্যাপটপ কম্পিউটারের নিচের অংশ যেখানে বেশি গরম হয় সাধারণত সেই স্থানের সাথে অন্য কিছু সরাসরি স্পর্শে সাথে এমনভাবে ল্যাপটপ রাখবেন না। তাহলে গরম বের হয়ে সরে যাবার সুযোগ পাবে। আর ল্যাপটপের কুলিং ফ্যানের একদম সামনে কিছু রাখবেন না যাতে বাতাস বাধাগ্রস্থ হয়। ল্যাপটের আশে পাশে অন্য কোনো বৈদ্যুতিক যন্ত্রাদি না রাখাই ভালো। আর সবচেয়ে ভালো হয় যদি ল্যাপটপ কুলার ব্যবহার করতে পারেন।

২৪. কম্পিউটার চালু হওয়ার পর কির্বোড কাজ করে না:
* কীবোর্ড ঠিক না থাকলে কম্পিউটার চালু নাও হতে পারে। সুতরাং অন্য কীবোর্ড লাগিয়ে দেখুন ।
* PS2 কীবোর্ড হলে এর বদলে ইউএসবি কীবোর্ড লাগিয়ে দেখুন অথবা উল্টোটা করুন।

উইন্ডোজ দেয়ার সময় শুধু কির্বোড কাজ করে না:
* বায়োস থেকে বুট সেটিংস এ ইউএসবি অপশন এনাবল করে দিন
* এরপরও কাজ না করলে বায়োস সেটিং সেভ করার সময় রিসেট অথবা Save & Resete ক্লিক করুন
* কীবোর্ড ইউএসবি ৩.০ পোর্টে  লাগানো থাকলে অবশ্যই খুলে ২.০ পোর্টে লাগান।

২৫. পেন ড্রাইভের স্ক্যান অপশন/অটোপ্লে ডিজাবেল করতে:
উইন্ডোজ সেভেনে পেন ড্রাইভ কিংবা মোবাইল/আইপড কানেক্ট করলেই ভেসে উঠে নিচের মেসেজটি, যা কিনা কাজের সময় আপনাকে যথেষ্ঠ পরিমাণ বিরক্ত করার ব্যাপারে বেশ দক্ষ। আর যারা বিভিন্ন এন্টিভাইরাস বা অন্য অন্য কোন ইউএসবি প্রোটেকশন টুলস ব্যবহার করেন তাদের জন্যও এটি তেমন কাজের না। তাই এই অপশনটি বন্ধ রাখাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। তবে মনে রাখবেনে টি বন্ধ করলে আপনার অটোপ্লে অপশনও আর কাজ করবে না।

- প্রথমেই স্টার্ট মেনুতে msconfig লিখে এন্টার দিন। সার্ভিস টাবে যান।
- শেল হার্ডওয়ার ডিটেকশন খুজে সেটি আনচেক করুন। পিসি রিস্টার্ট দিলেই কাজ হয়ে যাবে।

২৬. USB পোর্টে সমস্যা;
আমাদের সমাধান: এই সমস্যা বেশ কিছু কারণেই হতে পারে। বিভিন্ন ভাবে এর সমাধান করা সম্ভব।

- মাই কম্পিউটারে রাইট ক্লিক করে প্রোপার্টিজে গিয়ে ডিভাইস ম্যানেজারে যান। ইউএসবি ড্রাইভার আনইন্সটল করে কম্পিউটার রিস্টার্ট দিন। আবার একই জায়গায় গিয়ে ড্রাইভার ইন্সটল করে আপডেট দিন। কম্পিউটার আবার রিস্টার্ট দিন।
- ডিভাইস ম্যানেজার গিয়ে স্ক্যান ফর হার্ডওয়ার চেঞ্জেস এ ক্লিক করুন।
- কম্পিউটারের বন্ধ করে পেছন থেকে পাওয়ার সাপ্লাই খুলে ১৫-২০ পর আবার লাগিয়ে কম্পিউটার অন করুন।

২৭. পিসির সমস্যায় সিস্টেম রিস্টোর:
সিস্টেম রিস্টোর পয়েন্ট দিয়ে পিসিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে হয় সেই উপায় নিচে বর্ণনা করা হলো-
শুরুতেই সিস্টেম রিস্টোর ওপেন করুন। System Restore বাটনে ক্লিক করুন। সিস্টেম রিস্টোর উইন্ডো চালু হবে। নেক্সটে যান। সিস্টেম রিস্টোর পয়েন্টগুলার একটি তালিকা দেখতে পাবেন। খেয়াল করলেই এটি তৈরির সময়,এবং ঐ সময়ে কি কাজ করা হয়েছিল তা দেখতে পাবেন।
* নিচে Scan for affected programs এ ক্লিক করলে এই রিস্টোর পয়েন্ট এক্টিভ করলে সিস্টেমে বর্তমান অবস্থা থেকে কি কি পরিবর্তন হবে বা কোন কোন এপ্লিকেশন, ডাটা মুছে যাবে বা পুরাতন কোনটা ফিরে আসবে তার তালিকা দেখতে পাবেন। একটা কথা মনে রাখবেন,সিস্টেম রিস্টোর শুধুমাত্র এপ্লিকেশনের উপর প্রভাব ফেলে এপ্লিকেশন দিয়ে তৈরি কোন ফাইলের উপর প্রভাব ফেলে না।
* আর Show more restore points এ ক্লিক করলে যদি আরো কোন পুরাতন সিস্টেম রিস্টোর পয়েন্ট থেকে থাকে তার তালিকা দেখতে পাবেন।
* এরপর Next এ ক্লিক Finish প্রেস করলেই কাজ শুরু হবে।মনে রাখবেন, এই সময়ে পিসি একবার রিস্টার্ট নিবেন। রিস্টার্ট নেবার পরো আরো কিছুক্ষন সমস্য লাগবে কাজ শেষ হতে। পুরোটা সময়ে যদি কোনভাবে বিদ্যুতজনিত কোন কারনে পিসি বন্ধ হয় তাহলে সমস্যায় পড়তে পারেন। সতর্ক থাকুন এ ব্যাপারে।

২৮. ইন্টারনেট রেড ক্রস সাইন/ওয়াইফাই পাচ্ছেনা:
* ডেস্কটপ হলে ওয়াইফাই রিসিভারটি প্রথমে ইউএসবি ২ পোর্টে লাগান,
* ওয়াইফাই রিসিভারের ড্রাইভার থাকলে ইনস্টল দিন। এভাবেও করতে পারেন My Computer এ Right Button চেপে Manage এ গিয়ে Device Manager থেকে Network Adapter ক্লিক করুন হলুদ সতর্কবার্তা দেখানো অপশনে রাইট বাটন চেপে Update Driver এরপর Search Automatically for...অপশন চাপুন, নেট থেকে আপনা আপনি ড্রাইভার ইনস্টল হয়ে যাবে।

২৯. কম্পিউটার ইন্টারনেট মডেম খুঁজে পাচ্ছে না:
আমাদের সমাধান: কম্পিউটার আপনার ডায়াল আপ বা জিপিআরএস/এজ মডেম কোনো কারণে খুঁজে না পেলে সেটি অন্য স্লটে /পোর্টে লাগিয়ে দেখুন। কম্পিউটার রিস্টার্ট দিয়ে আবার চেষ্টা করে দেখুন। নাহলে পূনরায় ইনস্টল করুন।

৩০. ইন্টারনেট মডেম-এ নেটওয়ার্ক সমস্যা হচ্ছে:
জিপিআরএস বা এজ মডেমে নেটওয়ার্কের এই সমস্যা হলে-
* মডেম সবসময় উন্মুক্ত স্থানে রাখুন। কেননা এর উপর নেটওয়ার্ক নির্ভর করে।
* সীমটি ট্রে থেকে খুলে আবার লাগিয়ে কানেক্ট দিন। অনেকসময় মডেম ঠিকমতো সীম কানেকশন না পাবার কারনেও নেট সমস্যা করে থাকে।
* ড্রাইভার নতুন করে ইন্সটল করে দেখুন।
* মডেম কেনার সময় ভাল করে জেনে নিন এই মডেম উইন্ডোজ এক্সপি, ভিসতা, সেভেন বা লিনাক্স সাপোর্ট করে কিনা এবং সংশ্লিষ্ট সব ড্রাইভার সাথে দেয়া আছে কিনা।

৩১: ইন্টারনেট ব্রাউজারে/ডকুমেন্টে বাংলা না দেখানো/ফন্ট ভেঙ্গে যাওয়া
* বিজয় কিবোর্ড ২০১৬ বা অভ্র ইনস্টল দিন,
* বেশিরভাগ বাংলা সাইটই সোলাইমানলিপি ফন্ট ব্যবহার করে। এজন্য ইন্টারনেট থেকে Solaimanlipi ফন্টটি ডাউনলোড করে ইনস্টল দিন।

৩২. সিডি ড্রাইভের সমস্যা:
আমাদের সমাধান: যদি সিডি ড্রাইভটি সাটা হয় তাহলে তার পোর্ট পরিবর্তন করে দেখুন। আর সিডি ড্রাইভ বেশি পুরাতন হলে তার হেড পরিস্কার করাটা জরুরি।

৩৩. সিডি ড্রাইভ থেকে সিডি ঠিকমতো বের হয় না:
আমাদের সমাধান: সিডি যদি ড্রাইভের Eject বাটন চাপার পরও বের না হয় কিন্তু লাইট জ্বলে এবং বের হওয়ার চেষ্টা করে বা শব্দ করে, তখন বুঝতে হবে সিডিটি এখনও রান করছে। তাই অপেক্ষা করুন। এরপরও না খুললে সিডি/ডিভিডি ড্রাইভের ট্রের নিচে একটা ছিদ্র আছে ওটাতে পিন জাতীয় কিছু দিয়ে ঠেলে দিন। তবে নিয়মিত এই সমস্যাটি হলে বুঝতে হবে সিডি ড্রাইভের মেকানিজমে সমস্যা। বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ করুন।

৩৪. কম্পিউটার সিডি ড্রাইভ পাচ্ছে না:
আমাদের সমাধান: যদি মাই কম্পিউটারেই সিডি ড্রাইভ খুঁজে পাওয়া না যায় তখন দেখুন এর পেছনের ডাটা ক্যাবল ও পাওয়ার ক্যাবল লুজ হয়ে গিয়েছে কিনা। তারপরও কাজ না হলে বায়োসে ঢুকে দেখতে পারেন আসলেই মাদারবোর্ড ড্রাইভটিকে ডিটেক্ট করতে পারছে কি-না। এখানে বুট ডিভাইস লিস্টে ড্রাইভটি দেখা গেলে বুঝা যাবে যে উইন্ডোজের সমস্যা। সেক্ষেত্রে ডিভাইস ম্যানেজারে গিয়ে ড্রাইভের ড্রাইভারটি আনইন্সটল করুন। ড্রাইভের ডাটা ক্যাবল খুলে আবার লাগান। উইন্ডোজ এবার নতুন করে ড্রাইভার ইন্সটল করবে।

৩৫. উইন্ডোজ সেটআপ সিডি কাজ করছে না:
* আপনার সিডি/ডিভিডি রম ঠিক মতো আছে কি-না দেখে নিন।
* প্রয়োজনে সিডি/ডিভিডি রমটি ক্লিন করে নিন।
* ইন্সটলেশন সিডি/ডিভিডিটিতেই সমস্যা থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে অন্য ইন্সটলেশন সিডি/ডিভিডি দিয়ে চেষ্টা করে দেখুন।

৩৬. উইন্ডোজ সেটআপ হচ্ছে না:
যদি সেটাপ সিডি কপি হবার পর পিসি রিস্টার্ট দেয় এবং ইন্সটল হতে গিয়ে আটকে যায় তাহলে
* এটি সিডির ফাইল কপিতে সমস্যার কারণেও হতে পারে, আবার শুরু থেকে শুরু করুন। আবারও আটকেছে? তাহলে বুঝতে হবে হার্ডওয়্যারগত সমস্যা।
* যদি সিডি/ডিভিডি ড্রাইভে সমস্যা থাকে। সেক্ষেত্রে অন্য সিডি/ডিভিডি ড্রাইভ ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
* করাপ্টেড সিডি/ডিভিডির কারণেও হতে পারে
* পেনড্রাইভ দিয়ে ইনস্টলের চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
* অথবা র‌্যামের। র‌্যামের স্লট পরিবর্তন করে দেখুন। একাধিক বাসস্পিডের র‌্যাম লাগানো থাকলে একই স্পিডবিশিষ্টটি রেখে বাকিগুলো খুলে ফেলুন।
* অনেক সময় হার্ডডিস্কে/সি ড্রাইভে সমস্যা থাকলে উইন্ডোজ ইনস্টলে সমস্যা হতে পারে। সেক্ষেত্রে অন্য কম্পিউটারে হার্ডডিস্ক লাগিয়ে সি ড্রাইভ ফরম্যাট করে নিয়ে দেখতে পারেন।

৩৭. বিদ্যুতের ভোল্টেজের উঠানামার কারণের পিসির রিস্টার্ট সমস্যা:
যদি ভোল্টেজের উঠানামার জন্য পিসি রিস্টার্ট দেয় তাহলে ইউপিএস ব্যবহার ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। আরেকটি সমস্যা অনেকসময় দেখা যায়। কম্পিউটারের উপর যখন বেশি চাপ পড়ে তখন সেটি রিস্টার্ট দিতে পারে। পিসি যখন হাইএন্ড গেম বা এপ্লিকেশন রান করতে যায় তখন পিসি রিস্টার্ট করে। এর সম্ভাব্য কারণ হতে পারে অপর্যাপ্ত পাওয়ার সাপ্লাই। অর্থাৎ কাজের সময় আপনার পাওয়ার সাপ্লাই মাদারবোর্ডে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারে না। এক্ষেত্রে আপনাকে পাওয়ার সাপ্লাইটি পরিবর্তন করতে হবে।

৩৮. ইউপিএস ব্যাকআপ দিচ্ছে না:
অনেকসময়ই দেখা যায় বিদ্যুৎ চলে গেলেই ইউপিএস চালু থাকলেও কম্পিউটার রিস্টার্ট দেয় কিংবা ইউপিএস ১/২ মিনিটের বেশি ব্যাকআপ দিচ্ছে না। এমন হলে বুঝতে হবে ইউপিএস এর ব্যাটারি পুরাতন হয়ে গেছে। এই অবস্থায় নতুন ব্যাটারি লাগালেই সমস্যার সমাধান হবে।

৩৯. ইউপিএস থাকার পরেও কম্পিউটার রিস্টার্ট হয়:
আমাদের সমাধান: অনেকসময়ই দেখা যায় বিদ্যুৎ চলে গেলেই ইউপিএস চালু থাকলেও কম্পিউটার রিস্টার্ট দেয়। বেশ কয়েক কারণে এমন হতে পারে-

* ইউপিএস এর সার্কিটে সমস্যার কারণে এমন হতে পারে।
* ইউপিএস-এ চার্জ কম থাকলে।
* ইউপিএস-এ লোডের চেয়ে বেশি পাওয়ারের যন্ত্র লাগানো থাকলে।

যদি চার্জ ফুল থাকার পরও কারেন্ট চলে গেলে ইউপিএস থাকা সত্ত্বেও পিসিরিস্টার্ট দেয় তাহলে পিসির সাথে সিপিইউ আর মনিটর বাদে অন্য অতিরিক্ত যন্তাংশ খুলে তারপর আবার পরীক্ষা করুন। যদি তখনও একই সমস্যা হয় তাহলে ইউপিএসটি টেকনিশিয়ানকে দেখান।

৪০. পেনড্রাইভ রাইট প্রটেক্টেড:

পদ্ধতি ১-
যে কোম্পানীর পেনড্রাইভ সেই কোম্পানীর ওয়েবসাইট থেকে format tools download করেন। (e.g : transcend এর জন্যে online format tools অথবা apacer এর জন্যে repair tools)

পদ্ধতি ২ 
পেনড্রাইভের ওপর মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে ফরম্যাট করলে পেনড্রাইভ ফরম্যাট হবে। ওপরের পদ্ধতিতে ফরম্যাট না হলে পরের পদ্ধতিটি অনুসরণ করুন। প্রথমে রানে গিয়ে টাইপ করুন Regedit এবং ওকে চাপুন। এবার HKEY-LOCAL-MACHINE থেকে SYSTEM তারপর Current Control Set তারপর Control-এ যান।

এখন Control-এর নিচে Storage Device Policies নামক একটি Key যুক্ত করতে হবে। এজন্য Control-এর ওপর রাইট ক্লিক করে New থেকে Key-তে ক্লিক করুন। এরপর টাইপ করুন Storage Device Policies। এ অবস্থায় মেনুবার থেকে Edit-New-DWORD Value-তে যান। এখানে টাইপ করুন WriteProtect। WriteProtect-এর ওপর মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে Modify-এ ক্লিক করুন। এখন আপনার Value-তে ১ থাকলে ০ করে তারপর ওকে করুন। এরপর কম্পিউটার রিস্টার্ট করুন। এবার স্বাভাবিক নিয়মে পেনড্রাইভ ফরম্যাট করুন।

পদ্ধতি ৩ 
যদি ফ্লাশড্রাইভ টি রিডঅনলি হয়ে থাকে ...তাহলে নিচের cmd চেষ্টা করতে পারেন ।

- প্রথমে কম্পিউটারের Start বাটনে রাইট ক্লিক করে Command Prompt (Admin) এ ক্লিক করুন। ফলে নতুন একটি window চালু হবে যেখানে আপনাকে কিছু কমান্ড লিখতে হবে।

- diskpart লিখে enter চাপুন।
- এরপর list disk লিখে enter চাপুন। ফলে আপনার কম্পিউটারে সংযুক্ত সকল ড্রাইভ এর লিস্ট দেখাবে। প্রথমে থাকবে Hard Disk ও পরে থাকবে আপনার পেনড্রাইভ বা মেমরি কার্ডটি। Size ও Free স্পেস দেখেই নিশ্চই বুঝতে পারবেন যে কোনটি আপনার পেনড্রাইভ বা মেমরি কার্ড। সেটার নাম্বারটি মনে রাখুন। যদি আপনার কম্পিউটারে সুধু একটি পেনড্রাইভ বা মেমরি কার্ড লাগানো থাকে তবে সেটি Disk 1 হিসেবে থাকার কথা। ছবিতে সেটি Disk 1 এ রয়েছে।
- select disk 1 লিখে enter চাপুন। (1 এর জায়গায় আপনার যেটিতে পেনড্রাইভ রয়েছে সেটি দিন)
- attributes disk clear readonly লিখে enter চাপুন।
- clean লিখে enter চাপুন।

complete বা ‍Successful হয়ে গেলে exit লিখে বের হয়ে আসুন। এবং কাজ হয় কিনা দেখুন ...

কম্পিউটারের বিভিন্ন সমস্যার নিজেই সমাধান করা শিখুন:
এজন্য যা করতে হবে-

- কম্পিউটারের যন্ত্রপাতিগুলি সম্পর্কে সেগুলোর কাজ সম্পর্কে জানুন পড়ুন গুগোল সার্চ করুন।
- বিভিন্ন সমস্যায় কম্পিউটার  নিজেই বলে দেয় কী সমস্যা হয়েছে? কী করতে হবে সেটাও অনেকসময় বলে দেয়। আপনাকে শুধু ইংরেজি সেই বার্তাটা বুঝতে হবে। আপনি যখন থেকে কম্পিউটারের সেই ভাষা, সেই আর্তনাদ, আকুতি ও কান্না বুঝা শুরু করবেন তখন থেকেই এক্সপার্ট হওয়া শুরু করবেন।
- কম্পিউটার কি সমস্যার কথা বলছে সেটা গুগোলে লিখে সার্চ করুন। পিসিতে হোক বা মোবাইলে। এমন কোনো সমস্যা নেই যেটার সমাধান ইন্টারনেটে নেই, শুধু ঝামেলা হল হাজার জনের  দেয়া হাজারটা উত্তর থেকে পারফেক্ট উত্তরটা খুঁজে বের করা। তবে আপনি যদি একটু বুদ্ধি খাঁটান এবং খেয়াল করলে দেখবেন সঠিক উত্তরগুলো প্রায় একই রকম কিছু জায়গা থেকে কিছু ওয়েবসাইট থেকে আসছে।
- কম্পিউটারের ভেতরেই কম্পিউটারের হালকা সমস্যা, সমস্যার কারণ ও সমাধানের উপায় দেয়া আছে যার নাম ট্রাবলশুটিং Troubleshooting। সেটিংস/সেটআপ/কন্ট্রল প্যানেলে গিয়ে Troubleshooting লিখে সার্চ করুন দেখবেন আপনাকে দেখাকে আপনি কিসের ট্রাবলশুট করতে চান অডিও, ইন্টারনেট, ভিডিও , প্রিন্টার নাকি অন্য কিছু? ক্লিক করে স্টেপ অনুসরণ করুন।

windows 7  এবং 10 প্রায় একই সিস্টেম-


- অথবা নিচের বাম কোনায় যে অডিও, ইন্টারনেট ইত্যাদি আইকন আছে সেগুলোর উপর রাইট বাটন চাপলেও Troubleshoot problems দেখাবে।

Our YouTube Channel Link - Smart Education



6 comments:

  1. আমার কম্পিউটার অনেক্ষন অফ থাকার পর অন করলে ডিসপ্লে আসে না কিন্তু আমি যখন র‍্যাম খুলে লাগাই তখন আবার আসে এরকম হচ্ছে বারবার।দয়া করে কেউ বলবেন কেন হচ্ছে এমন?

    ReplyDelete
  2. যদি কারেন্ট চলে যায় তখন আমার কম্পিউটার বন্ধ হয়ে গেলে কারেন্ট আসার পর যদি অন করি তাহলে অন হয় কিন্তু ডিসপ্লে আসে না।
    এরপর যদি পাওয়ার সাপ্লাই থেকে সুইজ টা ছুটিয়ে লাগাই তখন আসে । এরকম কেন হচ্ছে?

    ReplyDelete
  3. হঠাৎ ল্যাপটপ অফ। এখন চার্জার লাগালে প্রচন্ড গরম হয় আর অন হয় না

    ReplyDelete
  4. আমার কম্পিউটার ২-৩ দিন বন্ধ ছিল এখন অন করলে চালু হচ্ছে না।
    কোনো লাইট জ্বলছে না।
    সিপিইউ এর ভিতর কোনো শব্দ হচ্ছে না।
    করণীয় কি?

    ReplyDelete

Powered by Blogger.